ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। অভিযানে ১ হাজারের বেশি আবাসিক চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং বিপুল পরিমাণ পাইপ ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

তিতাস গ্যাস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৬ জুন) রাজধানীর বনানী ও টিএন্ডটি কলোনীসহ আশপাশের এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-৪ এর আওতাধীন বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।

বনানীর আঞ্জুরা বিল্ডিংয়ের তিনটি হোটেলে বাণিজ্যিক গ্যাস ব্যবহারের প্রমাণ পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি টিএন্ডটি মহিলা কলেজের পাশের একটি এলাকায় ১৫০টি ডাবল চুলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ পাওয়া যায়, যেখান থেকে ৩২০ ফুট প্লাস্টিক টিউবের সার্ভিস লাইন জব্দ করা হয়েছে।

টিএন্ডটি কলোনির কালভার্টের পাশে পানিহাউজ হোটেল ও আশপাশের আবাসিকে প্রায় ২০০টি চুলা এবং একটি স্টার বার্নার ব্যবহার করা হচ্ছিল প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে। অভিযান চালিয়ে এসব সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়। একই এলাকায় বিটিসিএল কলোনির সামনে-পেছনে আরও ৫০০টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং সোর্স পয়েন্ট থেকে কিলিং করা হয়।

এছাড়া, বিভিন্ন ব্যাসের ৬০৮ ফুট পাইপ, ৩২০ ফুট প্লাস্টিক টিউব, ৩টি রেগুলেটর ও ৩টি লক উইং কক জব্দ করা হয়েছে।

অপরদিকে, একই দিন রূপগঞ্জ উপজেলার ত্রিশকাহনিয়া, হান্ডিমার্কেট ও কাঞ্চন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুর রহমানের নেতৃত্বে মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-রূপগঞ্জ এর আওতায় অভিযান চালানো হয়। এতে ২২৭টি বাড়ির ৪০৪টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ১৬৯ ফুট পাইপ জব্দ করা হয়।

তিতাস গ্যাসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত চালানো অভিযানে মোট ৪০ হাজার ৩৪৫টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫৫টি শিল্প, ২১৭টি বাণিজ্যিক এবং ৩৯ হাজার ৮৭৩টি আবাসিক সংযোগ। একই সঙ্গে ৮৮ হাজার ২৯৩টি বার্নার ও ১৭৪ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।

বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে